অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইসরায়েলের অধিকৃত পশ্চিম তীরে অভিযান অব্যাহত রেখেছে দেশটির সেনাবাহিনী। অভিযান চলাকালে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে এক ফিলিস্তিনি কিশোরীর প্রাণ গেছে।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চলতি বছরেও ইসরায়েলের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। জেনিন শহরে অভিযান চালানোর সময় ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরী নিহত হয়েছেন।
ফিলিস্তিনের সরকারি বার্তা সংস্থা সোমবার আরও জানায়, জানা যাকারান তার বাড়ির ছাদে ছিলেন। জেনিন থেকে ইসরায়েলি সেনারা চলে যাওয়ার পর তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এতে আরও বলা হয়েছে, ইসরায়েলের সেনারা শহরে প্রবেশ করার পর তিনজকে আটক করে। এসময় ইসরায়েলি সেনা ও ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়।
ইসরায়েলি সেনা কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা মেয়েটির মৃত্যুর খবর সম্পর্কে অবগত ছিল এবং ঘটনাটি পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
তাদের দাবি, ৩ আসামিকে গ্রেফতারের জন্য গেলে তাদের ওপর গুলি চালানো হয়। পাল্টা গুলি চালায় সেনারাও।
কাছের আরেকটি শহর নাবলুসেও এ বছর বেশিরভাগ সহিংসতার ঘটনা ঘটে। গত এক দশক ধরে এই অঞ্চলে অভিযান জোরদার করেছে ইসরায়েল।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বলছে, চলতি বছর পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ১৬৫ জন নিহত হয়েছে। একই সময়ে, ইসরায়েল ও পশ্চিম তীরে কমপক্ষে ২৩ জন ইসরায়েলি বেসামরিক লোক এবং নিরাপত্তা বাহিনীর আট সদস্য নিহত হয়েছেন।
১৯৬৭ সালে ৬ দিনের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সময় পশ্চিম তীর দখল করে নেয় ইসরায়েল। এরপর থেকে বিভিন্ন দফায় সেখানে বসতি স্থাপন করেছে দেশটি। পশ্চিম তীরে বর্তমানে প্রায় ছয় লাখ ইসরায়েলি ইহুদির বাস। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী এটাকে অবৈধ বলে বিবেচনা করা হয়। সূত্র: টিআরটি ওয়ার্ল্ড
Leave a Reply